দলিত শিশুদের উপযুক্ত শিক্ষায় শিক্ষিত হবে

দলিত শিশুদের উপযুক্ত শিক্ষায় শিক্ষিত হবে
Dalitkantha Posted on সোমবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ খ্রিস্টাব্দ, ২৫ ভাদ্র ১৪২৫ বঙ্গাব্দ

॥ দলিত কন্ঠ ডেস্ক ॥
“দলিত শিশুদের শিক্ষায় অন্তর্ভুক্তি ও রাষ্ট্রের করণীয়” বিষয়ক এক মত বিনিময় সভা গতকাল ১০ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টায় প্রেসক্লাবের হলরুমে বেসরকারী স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা শারি’র আয়োজনে এবং ইউএনডিপি এইচআরপি’র সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত মত বিনিমিয় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মন্দির ভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রমের প্রকল্প পরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব রনজিত কুমার দাস। তিনি বলেন, দলিতদের সকল সকল শিশুই উপযুক্ত শিক্ষায় শিক্ষিত হবে। বাংলাদেশ দলিত পঞআচয়েত ফোরামের সভাপতি রামানন্দ দাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মত বিনিময় সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন শারি’র নির্বাহী পরিচালক প্রিয় বালা বিশ্বাস। বিশেষ অতিথি ছিলেন মাই টিভির সিনিয়র রিপোর্টার মানিক লাল ঘোষ এবং সাংবাদিক শিব শংকর মোদক। শারি’র এডভোকেসী কো-অর্ডিনেটর রঞ্জন বকসী নুপুর সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ হরিজন ছাত্র ঐক্য পরিষদের সভাপতি রনিত লাল বাসুর, বাংলাদেশ দলিত নারী আন্দোলনের সভানেত্রী বাসন্তী রানী দাস, বাংলাদেশ দলিত হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডার ফোরামের সাধারন সম্পাদক শিখা রানী দাস প্রমূখ।
বক্তারা দলিত জনগোষ্ঠীর মর্যাদা প্রতিষ্ঠার এবং প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত প্রজ্ঞাপনের আওতায় বিভিন্ন দপ্তরে নিয়োগের ক্ষেত্রে ৮০% কোটা বরাদ্দের দাবী জানান। দলিত সমাজের মানবাধিকার সংরক্ষণে বাংলাদেশ সরকারকে বর্ণবৈষম্য বিলোপ সংক্রান্ত আইন প্রণয়ন করতে হবে এবং পাবলিক ও প্রাইভেট ক্ষেত্রে অস্পৃশ্যতার চর্চা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে ঘোষণা দিতে হবে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে এবং নারী ও শিশু মন্ত্রনালয়ে দলিতদের জন্যে বিশেষ সেল গঠন করতে হবে। দলিত শিশুদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে হবে। সামাজিক সকল কর্মকান্ডে দলিতদের অংশগ্রহণ সুনিশ্চিত করতে হবে। প্রতিটি কলোনিতে সরকারী স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র স্থাপন করতে হবে। চাকুরি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি ক্ষেত্রে সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২৯(৩) অনুযায়ী দলিতদের জন্য কোটা বরাদ্দ করতে হবে। সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভায় দলিত সম্প্রদায়ের জন্য চাকুরি নীতিমালা যুগোপযোগী করতে হবে। তাদের চাকুরী স্থায়ী করতে হবে এবং পণ্যমূল্যের বাজার ও মুদ্রাস্ফিতির সাথে সঙ্গতি রেখে তাদের বেতন কাঠামো নির্ধারণ করতে হবে। সরকারের গৃহায়ন কর্মসূচী (যেমন গুচ্ছগ্রাম, আদর্শগ্রাম ও আশ্রয়ন)-এ দলিত সম্প্রদায়কে অন্তর্ভূক্ত করতে হবে। তাদের বর্তমান আবাসনগুলো মেরামত করতে হবে এবং সেগুলোতে নাগরিক সকল সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। দলিত সম্প্রদায়ের জন্য খাস জমি স্থায়ী বন্দোবস্ত দিতে হবে। সরকারী সেফটি নেট কর্মসূচী (বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, ভিজিএফ কার্ড, দূর্যোগকালীন ত্রাণ ইত্যাদি)-তে দলিত সম্প্রদায়কে অন্তর্ভূক্ত করতে হবে। জাতীয় সংসদসহ সকল স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানে দলিত সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার জন্য আসন সংরক্ষনের ব্যবস্থা করতে হবে।