দলিত সম্প্রদায়ের সদস্যদের জন্য সমাজ পরিচ্ছন্ন থাকলেও তারাই আজ সমাজে অস্পৃশ্য

বিশ্ব মর্যাদা দিবসে বক্তারা : দলিত সম্প্রদায়ের সদস্যদের জন্য সমাজ পরিচ্ছন্ন থাকলেও তারাই আজ সমাজে অস্পৃশ্য
বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৪
কাগজ প্রতিবেদক : যারা তাদের কাজের মাধ্যমে সমাজকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখে তাদেরকেই সমাজ সবচেয়ে বেশি অপরিচ্ছন্ন মনে করে এবং তাদেরকে অস্পৃশ্য করে রাখে। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীতে বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা শারি ও হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডার ফোরামের আয়োজনে এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও অক্সফামের সহযোগিতায় বিশ্ব মর্যাদা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত র‌্যালি, আলোচনা সভা ও সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে বক্তারা দলিত সম্প্রদায়কে উদ্দেশ্য করে এসব কথা বলেন।

দলিত ও মাইনরিটি হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডার ফোরামের সভাপতি রনিত লালের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্য মাহফুজা খানম। বিশেষ অতিথি ছিলেন ডেইলি স্টারের শোবিজ সম্পাদক মো. রাফি হোসেন, সেভ দ্য চিলড্রেনের প্রোগ্রাম ডিরেক্টর তালাত মাহমুদ, হটলাইন হিউম্যান রাইটস ট্রাস্টের নির্বাহী পরিচালক রোজলিন কস্তা।

সভায় বক্তব্য রাখেন শারি’র নির্বাহী পরিচালক প্রিয় বালা বিশ্বাস, বাংলাদেশ হরিজন ঐক্য পরিষদের মহাসচিব নির্মল চন্দ্র দাস, বাংলাদেশ দলিত ঋষি পঞ্চায়েত ফোরামের আহ্বায়ক রাজকুমার দাস, শারি’র ডেপুটি কো-অর্ডিনেটর রঞ্জন বকসী নুপু, বাংলাদেশ দলিত নারী আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক পিংকী রানী দাস, বেলী রানী, সুচিত্রা রানী ভক্ত, দলিত ও মাইনরিটি হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডার ফোরামের সদস্য সচিব মনিকা রানী ভক্ত। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন আয়োজক সংস্থা শারি’র নির্বাহী পরিচালক প্রিয় বালা বিশ্বাস।

এ সময় বক্তারা আরো বলেন, দলিত সম্প্রদায়ের সদস্যরা একটি নির্দিষ্ট জায়গায় থাকতে বাধ্য হন, কারণ তাদের ঘৃণার চোখে দেখা হয়। মেথরপট্টি, সুইপার কলোনি, মুচিপাড়া ইত্যাদি নামে তাদের আবাসনের নাম দেয়া হয়। সমাজের এ শ্রেণিকে কিছুতেই সামাজিক কাঠামোতে যুক্ত করা হচ্ছে না, অথচ তাদের ছাড়া সমাজ অচল। এ ধরনের পরস্পরবিরোধী মনোভাব সমাজে বিদ্যমান এবং তা খুবই দুঃখজনক। তারা বলেন,এই একবিংশ শতাব্দীতেও দলিতরা প্রতিনিয়ত অস্পৃশ্যতার শিকার হন বৃহত্তর সমাজ এবং রাষ্ট্রের কাছ থেকে।