মতবিনিময় সভায় বিশিষ্টজনরা দলিত শিশুদের উপযুক্ত শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে

মতবিনিময় সভায় বিশিষ্টজনরা দলিত শিশুদের উপযুক্ত শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে
ডেসটিনি রিপোর্ট
Published : Tuesday, 11 September, 2018 at 8:04 PM, Count : 177
মতবিনিময় সভায় বিশিষ্টজনরা দলিত শিশুদের উপযুক্ত শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে
মতবিনিময় সভায় বিশিষ্টজনরা দলিত শিশুদের উপযুক্ত শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে

‘দলিত শিশুদের শিক্ষায় অন্তর্ভুক্তি ও রাষ্ট্রের করণীয়’ বিষয়ক এক মতবিনিময় সভা গতকাল সোমবার সকালে প্রেসক্লাবের হলরুমে বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা শারির আয়োজনে এবং ইউএনডিপি এইচআরপির সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ মতবিনিমিয় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মন্দিরভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রমের প্রকল্প পরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব রণজিত কুমার দাস। বাংলাদেশ দলিত পঞ্চায়েত ফোরামের সভাপতি রামানন্দ দাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন শারির নির্বাহী পরিচালক প্রিয় বালা বিশ্বাস। বিশেষ অতিথি ছিলেন মাই টিভির সিনিয়র রিপোর্টার মানিক লাল ঘোষ এবং সাংবাদিক শিব শংকর মোদক। শারির অ্যাডভোকেসি কো-অর্ডিনেটর রঞ্জন বকসী নূপুর সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ হরিজন ছাত্র ঐক্য পরিষদের সভাপতি রনিত লাল বাসুর, বাংলাদেশ দলিত নারী আন্দোলনের সভানেত্রী বাসন্তী রানী দাস, বাংলাদেশ দলিত হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডার ফোরামের সাধারণ সম্পাদক শিখা রানী দাস প্রমুখ। রণজিত কুমার দাস বলেন, দলিতদের সকল সকল শিশুই উপযুক্ত শিক্ষায় শিক্ষিত হবে। বক্তারা দলিত জনগোষ্ঠীর মর্যাদা প্রতিষ্ঠার এবং প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত প্রজ্ঞাপনের আওতায় বিভিন্ন দফতরে নিয়োগের ক্ষেত্রে ৮০% কোটা বরাদ্দের দাবি জানান। দলিত সমাজের মানবাধিকার সংরক্ষণে বাংলাদেশ সরকারকে বর্ণবৈষম্য বিলোপ সংক্রান্ত আইন প্রণয়ন করতে হবে এবং পাবলিক ও প্রাইভেট ক্ষেত্রে অস্পৃশ্যতার চর্চা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে ঘোষণা দিতে হবে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে এবং নারী ও শিশু মন্ত্রণালয়ে দলিতদের জন্যে বিশেষ সেল গঠন করতে হবে। দলিত শিশুদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে হবে। সামাজিক সকল কর্মকা-ে দলিতদের অংশগ্রহণ সুনিশ্চিত করতে হবে। প্রতিটি কলোনিতে সরকারী স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র স্থাপন করতে হবে। চাকরি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি ক্ষেত্রে সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২৯(৩) অনুযায়ী দলিতদের জন্য কোটা বরাদ্দ করতে হবে। সিটি করপোরেশন ও পৌরসভায় দলিত সম্প্রদায়ের জন্য চাকরি নীতিমালা যুগোপযোগী করতে হবে। তাদের চাকরি স্থায়ী করতে হবে এবং পণ্যমূল্যের বাজার ও মুদ্রাস্ফিতির সাথে সঙ্গতি রেখে তাদের বেতন কাঠামো নির্ধারণ করতে হবে। সরকারের গৃহায়ন কর্মসূচী (যেমন গুচ্ছগ্রাম, আদর্শগ্রাম ও আশ্রয়ণ)-এ দলিত সম্প্রদায়কে অন্তর্ভূক্ত করতে হবে। তাদের বর্তমান আবাসনগুলো মেরামত করতে হবে এবং সেগুলোতে নাগরিক সকল সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। দলিত সম্প্রদায়ের জন্য খাস জমি স্থায়ী বন্দোবস্ত দিতে হবে। সরকারী সেফটি নেট কর্মসূচি (বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, ভিজিএফ কার্ড, দুর্যোগকালীন ত্রাণ ইত্যাদি)-তে দলিত সম্প্রদায়কে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। জাতীয় সংসদসহ সকল স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানে দলিত সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার জন্য আসন সংরক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।