সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নয় : হাইকোর্ট

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে আক্রান্ত হিন্দু সমপ্রদায়ের মানুষ ও তাদের মন্দিরের নিরাপত্তা নিশ্চিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সংবাদপত্রে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তিতে গতকাল বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি মাহমুদুল হকের সমন্বয় বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন।
একই সঙ্গে আদালত হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হিন্দুদের বাড়িঘর আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেয়ারও নির্দেশ দেন। পাশাপাশি ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার ও তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, মর্মে রুল জারি করে তা জানতে চেয়েছেন আদালত।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও বেগমগঞ্জ থানার ওসিকে ১০ দিনের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। একই সময়ের মধ্যে আদালতের নির্দেশনা বাস্তবায়নের একটি অগ্রগতি প্রতিবেদনও জমা দিতে বলা হয়।
এ সময় আদেশ দেয়ার পূর্বে আদালতের বিচার কক্ষে উপস্থিত ব্যারিস্টার রোকনউদ্দিন মাহমুদ, অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরু ও অ্যাডভোকেট মো. খুরশীদ আলম খানের মতামত শুনেন।
যুদ্ধাপরাধের দায়ে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মৃত্যুদ-ের রায়ের পর গত বৃহস্পতিবার নোয়াখালীতে হিন্দু বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে নির্বিচারে ভাঙচুর, অগি্নসংযোগ ও লুটপাট করেছে জামায়াত-শিবির কর্মীরা। তাদের হামলার থেকে রেহাই পায়নি মন্দির-প্রতিমাও। এমন খবর বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার রাজগঞ্জ ইউনিয়নের আলামপুর ও আলাদীনগর গ্রামে জামায়াত-শিবিরের এই তা-বে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে ৭৬টি হিন্দু পরিবার। ক্ষতিগ্রস্তদের চোখে-মুখে এখনও রয়েছে আতঙ্কের ছাপ। ওই এলাকার ১০টি হিন্দু বাড়িতে হামলা চালিয়ে ৩৬টি ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয় জামায়াত-শিবির কর্মীরা। হামলা-ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয় ৫৩টি ঘরে। জামায়াত-শিবির কর্মীরা এ সময় হিন্দুদের উপাসনালয়ের মধ্যে ঠাকুর বাড়ির মন্দির, রাজগঞ্জ বাজার মন্দির, পুলিন দত্ত বাড়ির মন্দির ও কালীরহাট মন্দিরসহ পাঁচটি মন্দিরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগি্নসংযোগ করে।

Reference