হিন্দু বাড়ি পোড়ানো ও সংখ্যালঘু নির্যাতন

দিনাজপুর জেলার চিরিরবন্দর উপজেলার অনেকগুলো গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ অসহায় নিঃস্ব এবং সবার প্রতি আস্থাহীন হয়ে পড়েছে। তাদের প্রতি নির্মম অত্যাচার চালানো হয় প্রকাশ্য দিবালোকে সবার সামনে। হাজার হাজার লোককে হঠাৎ নানাস্থান থেকে ছুটে এসে ওই গ্রামগুলোতে এ সহিংস ঘটনাবলি ঘটিয়েছে। যারা ঘটনাগুলো ঘটাল তাদের বেশির ভাগই অন্য গ্রাম থেকে আসা আর অল্পসংখ্যক স্থানীয়। এত লোক জড়ো হলো কেন? কে তাদের অকস্মাৎ জড়ো করল? গত রোববার ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক সংবাদ, জনকণ্ঠ প্রভৃতি পত্রিকায় প্রকাশিত খবর থেকে জানলাম, মাইকে প্রচার করা হয়েছে পূর্বদিন এই মর্মে যে মসজিদ নির্মাণে হিন্দুরা বাধা দিচ্ছে। মুসলমানেরা তৎপর হোন। আর যায় কোথা? পবিত্র ধর্মের বিধান লঙ্ঘন করে সবাই মিলে হিন্দুদের, কার কি অপরাধ তার খোঁজখবর না নিয়েই, অসংখ্য বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়ে তারা ইসলাম রক্ষার পবিত্র দায়িত্ব পালন করলেন। এ মাইকিংটা কে করালেন তাও ওই খবরে জানা গিয়েছিল। স্বয়ং চিরিরবন্দর উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং তাকে মদত দিয়েছেন ওই এলাকার জামায়াতে ইসলামীর বর্তমান ও সাবেক আমির, উপজেলা চেয়ারম্যান এবং সংশ্লিষ্ট মসজিদের ইমাম। পবিত্র ইসলাম রক্ষার দায়িত্ব (মানুষের নিরাপত্তা বিধান নয়) নিজেদের কাঁধে তুলে তারা এমন কা-টি ঘটালেন।
পেছনের ব্যাপারটা কী? ওই এলাকায় মুসলিম বসতি অতি সামান্য এবং আশপাশের গ্রামগুলোতে আরও অসংখ্য মসজিদ আগে থেকেই আছে এবং সেগুলো তাদের নিকটবর্তীও। আর যে স্থানে প্রস্তাবিত ও বিতর্কিত মসজিদটি নির্মাণের চেষ্টা করা হচ্ছিল তার চতুর্দিকে হিন্দুদের ঘনবসতি এবং প্রস্তাবিত মসজিদটির কাছেই একটি মন্দির রয়েছে। এ কারণেই সেখানকার হিন্দুসমাজ ওই স্থানটিতে মসজিদ নির্মাণে আপত্তি জানিয়েছে।
বিষয়টি পরিষ্কার করার জন্য গত ৬ আগস্ট সংবাদে প্রকাশিত ‘শুরুতেই সাম্প্রদায়িকতাকে নির্মূল করুন’ শিরোনামে প্রধান সম্পাদকীয় থেকে অংশবিশেষ তুলে ধরছি।
‘চিরিরবন্দরে যে মসজিদ নির্মাণ নিয়ে ঘটনা এতদূর গড়াল তার নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা ও যৌক্তিকতা খুঁজে দেখতে হবে। জানা গেছে, যে এলাকায় মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে সেই এলাকা হিন্দু অধ্যুষিত। সেখানে মুসলিমসংখ্যা হাতেগোনা। দেশের সর্বত্রই অসংখ্য মসজিদ রয়েছে। হাতেগোনা কয়েকজন মুসলি্লর জন্য বিতর্কিত স্থানে মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগ রহস্যময়। যে ব্যক্তির জমিতে মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে তিনি এর আগে মার্কেট নির্মাণের সময় শিবস্থানের অবমাননা করেননি অথচ মসজি নির্মাণের জন্য সেই স্থানটিকেই বেছে নিলেন কেন সেটি একটি প্রশ্ন। চিরিরবন্দরের এ ঘটনাটিকে গভীরভাবে খতিয়ে দেখতে হবে_ কেবল হামলার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করলেই চলবে না। উসকানি ও মদতদাতা ইউএনও, উপজেলা চেয়ারম্যান এবং ইমামের বিরুদ্ধেও কঠোর আইনগত ব্যবস্থা অতি দ্রুত নিতে হবে।
যেদিন সম্পাদকীয় প্রকাশিত হলো ওই দিনই ‘সংবাদ’ আরেক দফা বিশাল প্রতিবেদন ছেপেছে। প্রতিবেদনটির মূল শিরোনাম, আতঙ্ক কাটেনি চিরিরবন্দরের মানুষের এই ফলোআপ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার বলাইবাজার, রাজাপুর. কবিরাজপাড়া ও মাঝপাড়া গ্রাম আতঙ্কের জনপদে পরিণত হয়েছে। শনিবারে আক্রান্ত সংখ্যালঘু পরিবারের সদস্যদের আতঙ্কের ঘোর এখনো কাটেনি। পরিবারের পুরুষ সদস্যরা বাড়ি ছেড়ে কেউ কাজে বের হননি। তপন রায়ের স্ত্রী হরমনি রায়, নারায়ণের স্ত্রী মিনতি রায়, জিতেন চন্দ্রের স্ত্রী পুতুল রায় ও রঞ্জিত রায়ের স্ত্রী হিমানী রায় শনিবারের ভয়াবহতার কথা বলতে গিয়ে বারবার জ্ঞান হারিয়ে ফেলছিলেন। কোন বাড়িতেই রান্না-বান্নার আয়োজন চোখে পড়েনি। জ্বলেনি কোন বাড়িতে উনুন। যূথিকা রায় নিরাপত্তার অভাব বোধ করে তার মেয়ে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী জবা রায়কে গত রোববার তার পিসির বাড়ি সুখ দেবপুরে পাঠিয়ে দিয়েছেন। প্রশাসনের কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতাকর্মী, বিপুলসংখ্যক বিজিবি সদস্য, র‌্যাব-পুলিশ ঘটনাস্থলে সাহস জোগানোর চেষ্টা করলেও কোনভাবেই কাটছে না তাদের আতঙ্ক।
‘সংবাদ’-এর দিনাজপুর সংবাদদাতা প্রবীণ সাংবাদিক চিত্ত ঘোষ ঘটনাস্থল ঘুরে এসে পাঠানো ওই প্রতিবেদনে আরও বলেছেন : ‘কারও ওপরই নির্ভর করে আস্থায় নিতে পারছে না তাদের ভেঙে পড়া মনকে।’
রোববার সকাল এগারটার দিকে বলাইবাজারে ওই সাংবাদিক পেঁৗছেই দেখেন লোকে লোকারণ্য বলাইবাজার। তিলধারণের জায়গা নেই। বিপুলসংখ্যক পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবির সদস্য সার্বক্ষণিক সতর্ক রয়েছেন। কিছুক্ষণের মধ্যে বলাইবাজারে এসে পেঁৗছলেন বিজিবির দিনাজপুরের সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মো. এমদাদুল হক, এলেন পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম। যার যার বাহিনীকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ প্রদান করলেন। দিনাজপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য এএইচ মাহমুদ আলী আক্রান্ত গ্রামগুলো পরিদর্শন করেন। ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলে ঘটনার বিবরণ শোনেন। তাকে কাছে পেয়ে অনেক মহিলা কান্নায় ভেঙে পড়েন। এমপি তাদের সান্ত্বনা দেন। তিনি ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে বলে আশ্বাস দেন।
সাংবাদিক চিত্ত ঘোষ লিখেছেন, অতঃপর বলাইবাজার থেকে নেমে আইলের পথ ধরে রাজাপুর ও কবিরাজবাড়ী যেতেই দেখা হলো নীরেন রায়ের স্ত্রী বিনোদিনী রায়ের সঙ্গে। এ বাড়িটিই শনিবার সর্বপ্রথম আক্রান্ত হয়। বিনোদিনীর দুই ছেলে এক মেয়ের মধ্যে বড় ছেলে সাগর (১৫) প্রতিবন্ধী কথা বলতে পারে না। বাড়িটা জ্বালিয়ে দিয়েছে দুষ্কৃতকারীরা। লুট করে নিয়েছে টাকা-পয়সা, গরু-ছাগল, বাসনপত্র। রান্না করে খাবার মতো বাসনপত্রও রেখে যায়নি লুটেরারা। দুপুর তখন আড়াইটা। কী খাবে তার সংস্থান নেই। সকালের ‘আলোর সন্ধানে’ নামে একটি সেবামূলক সংগঠন প্রশাসনের সহায়তায় সারারাত ধরে রান্না করা খিচুরি দিয়েছিল তা ক্ষুধার্ত ছেলেমেয়েদের খাইয়েছেন। তপন রায়, নারায়ণ রায়, জিতেন রায় জানালেন, তাদের বাড়ি থেকে ১০টি গরু, চারটি ছাগল ও একটি সাইকেল নিয়ে গেছে। পুড়িয়ে দিয়েছে পুরো বাড়ি। দিলীপ রায়ের বাড়িও সম্পূর্ণভাবে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। অধিকাংশ বাড়ির নলকূপ উঠিয়ে নিয়ে গিয়েছে দুষ্কৃতকারীরা। লুট করে নিয়েছে টাকা-পয়সা, গহনাপত্র, সব কিছু। অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী জবা রায়ের বই-খাতা আগুনে পুড়ে গেছে। চিরিরবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. তারিকুল ইসলাম জানান, শনিবারের ঘটনায় ৬০ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তিনি জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে ৩১ জুলাই পরিতোষ রায়সহ ১৯৬ জনের স্বাক্ষরযুক্ত একটি আবেদনপত্র ইউএনও অফিস থেকে তার কাছে পাঠানো হয়েছে ১ আগস্ট। এসআই ওইদিনই তার মতামত দিয়ে বেলা ১১টার মধ্যে ইউএনও অফিসে পাঠিয়ে দেন। ইউএনও পদক্ষেপ নেন ৩ আগস্ট। অনেক সময় এতে অতিবাহিত হয়ে যায়। সময়মতো পদক্ষেপ নেয়া হলে হয়তো বা অমন পরিস্থিতি এড়ানো যেত। এদিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কার্যালয়ে গিয়ে দেখা গেল ইউএনও রশিদুল মান্নাফ কবীর তার নিজ আসনে বসে আছেন। তাকে প্রশ্ন করা হলো, আপনাকে তো ক্লোজ করা হয়েছে, তবুও যে অফিসে যথারীতি বসে আছেন? তিনি বললেন, আমিও শুনেছি তবে কাগজ পাইনি এখনো। পেলেই চলে যাব।
ঘটনাস্থলে গিয়ে সাংবাদিক গত রোববারে এমনটাই জানতে পেরেছিলেন।
প্রশ্নটা দাঁড়ায়, তাহলে ধর্মীয় সংখ্যালঘুর এমন অসহায়ত্বের হাত থেকে মুক্তি পাবে কবে এবং কীভাবে? ঘটনা শুধু যে চিরিরবন্দরে ঘটল তা তো নয়। গত বছর এমন ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছিল সাতক্ষীরার গ্রামাঞ্চলে, ঘটেছিল তার কিছুকাল আগে চট্টগ্রামের দোহাজারীতে। দোহাজারীর ঘটনায় সরকারি কোন পদক্ষেপের খবরই অন্তত সংবাদপত্র মারফত আমরা কেউ জানতে পারিনি। কোন রাজনৈতিক দলও উচ্চবাচ্য করেননি। তবে সাহসী জননেতা পংকজ ভট্টাচার্য তার কয়েকজন সহকর্মীসহ ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সহমর্মিতা জানিয়েছিলেন এবং ঢাকায় ফিরে সংবাদ সম্মেলন করে পরিস্থিতি বর্ণনা করে দেশবাসী ও সরকারকে জানিয়েছিলেন। তবুও অসাম্প্রদায়িকতার দাবিদার এ সরকারের টনক নড়েনি।
সাতক্ষীরার ঘটনায় ওই এলাকার এমপি ও মন্ত্রী (স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের) গেছেন তার এলাকায় সমাবেশ করে দায়ী ব্যক্তিদের কঠোর শাস্তি দেয়া হবে বলে জানিয়েছিলেন। দুয়েকজন জামায়াতিকে গ্রেফতারও করা হয়েছিল আবার এ কথাও জানা গিয়েছিল গ্রেফতারকৃত জামায়াতের এক নেতাকে ছাড়িয়ে আনার জন্য আওয়ামী লীগেরই এক নেতা ঢাকায় ছুটে গেছেন তদবির করতে। তারপর বছর ঘুরে এল। কোন আসামির গ্রেফতার বা মামলা দায়ের বা তদন্ত করা বা চার্জশিট দেয়া অথবা কাউকে বিচারের সম্মুখীন করার কোন খবরই আজ পর্যন্ত জানা যায়নি। আসলে সবই ধামাচাপা পড়েছে।
সর্বশেষ চিরিরবন্দরের ঘটনাও তো দোহাজারী ও সাতক্ষীরার ঘটনার আদলে প্রকাশ্য দিবালোকে বিভিন্ন গ্রামের লোকজনকে জড়ো করে সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর আক্রমণ করল, ঘরবাড়ি পুড়িয়ে ছাই করল, পরিবারগুলোর যাবতীয় ধনদৌলত, গহনাপত্র লুট করে নিল এবং অতঃপর দেখা যাচ্ছে ৬০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। যা সাতক্ষীরাতেও হয়েছিল এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা চিরিরবন্দরের ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে দেখা করে ঘটনার বর্ণনা শুনে দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের একই প্রতিশ্রুতি দিলেন। পরিণতি কিন্তু একই হবে এমন আশা করা এ মুহূর্তে অসমীচীন হলে ইতিহাসের নিরিখে ভাবলে তো তাই বিশ্বাস করতে হয়।
তবু দেখতে চাই শেষতক কী ঘটে? প্রশ্ন হচ্ছে ওই ৬০ জনই কি শুধুমাত্র দায়ী? এত লোক এসে কা-গুলো ঘটাল আর দায়ী করা হলো মাত্র ৬০ জনকে? কী হবে ওই ইউএনওর। তিনি তো প্রত্যক্ষভাবেই দায়ী। ক্লোজ করা এক অদ্ভুত পুলিশি টার্ম। অতঃপর কী? তার বিরুদ্ধে একই অপরাধের মামলা দায়ের ও গ্রেফতার কেন করা হবে না?
কেনই বা মামলা দায়ের হলো না উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে এবং কীভাবে তিনি প্রকাশ্যে সরকারি গাড়ি নিয়ে ঘুরে বেড়াতে পারছেন। অবিলম্বে তার বিরুদ্ধে একই অপরাধে মামলা দায়ের ও গ্রেফতার করা কি ন্যায়বিচারের নূ্যনতম প্রয়োজনীয়তা নয়? আর ওই ইমাম? তার বিরুদ্ধেও মামলা একই অভিযোগে দায়ের করে তাকেও গ্রেফতার করা সহজ নয় কেন?
এ প্রশ্নগুলো নেহায়েতই প্রাসঙ্গিক এবং তার জবাব দিতে পারে একমাত্র স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তারা কি জানাবেন তা জনগণকে? যাবেন কি ছুটে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে? বিশ্বস্ততার ও দায়িত্ব সচেতনতার প্রমাণ দিতে?
আর হিন্দুসমাজ? তারা যেন অক্ষয় স্বর্গ লাভের নিশ্চয়তা পেয়েছেন ঈশ্বরতুল্য কারও কাছ থেকে একটিই শর্ত চোখ-কান বুজে নৌকায় ভোট দিলেই হলো। প্রার্থীটা কেমন? সাম্প্রদায়িক না তার বিরোধী? সৎ না অসৎ রাজনীতিক না ব্যবসায়ী, গরিবদরদি না কি ধনীর স্বার্থরক্ষক- এগুলো দেখার দরকার নেই।
বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারই তো ১৯৭২-এর মূল সংবিধান থেকে বিচ্যুত হয়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ পরিত্যাগ করে জিয়া-এরশাদের আদর্শে দীক্ষিত হয়ে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী পাস করে, বিসমিল্লাহ ও রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম সুপ্রিম কোর্ট বেআইনি ঘোষণা করা সত্ত্বেও সংবিধানের অন্তর্ভুক্ত করে পঞ্চদশ সংশোধনী পাস করে কার্যত বাংলাদেশকে ইসলামী রাষ্ট্রে পরিণত করল তা ভুললে চলবে কী করে? তারাই যে জামায়াতে ইসলামীকে বৈধতা দিল উচ্চ আদালতের নির্দেশ অমান্য করে তাও ভুলবার নয়। বিকল্প রাজনৈতিক শক্তি প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক বিকল্প রাজনৈতিক সক্রিয় সন্ধ্যান তাদের ও দেশের স্বার্থে অপরিহার্য?

Reference