আন্তর্জাতিক নারী দিবস-২০১৮ উদযাপন

888
‘‘সময় এখন নারীর উন্নয়নে ত্রাা: বদলে যাচ্ছে গ্রাম-শহরের কর্মজীবন ধারা’’ এই মূল ধারাকে সামনে রেখে Promoting Gender Sensitive Panchayets of Dali Community in Bangladesh project প্রকল্পের বার্ষিক পরিকল্পনানুযায়ী শারি সংস্থা এবং ব্রেড ফর দ্যা ওয়ার্ল্ড এর অর্থায়নে প্রকল্পের ৫০টি এলাকার (৪৫টি ঋষিপাড়া ও ৫টি হরিজন কলোনীর) মোট ২০৪ জন (পু ৩২ না ১৭২) অংশগ্রহন করেন। দিবসটি উদযাপিত হয় দুইভাবে। প্রথমে সকাল ১০টায় বঙ্গবন্ধু আšতর্জাতিক সম্মেলন কক্ষে গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রনালয় কর্তৃক আয়োজিত আšতর্জাতিক নারী দিবস উদযাপন উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করেন। উক্ত অনুষ্ঠানে স্বাগতিক বক্তব্য রাখেন সচিব নাসিমা বেগম, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের মাধ্যমে আমরা খুবই অনুপ্রাণিত হয়েছি। কেননা বক্তব্যে পরিষ্কার ছিল অথনৈতিক স্বাধীনতা অর্জনের জন্য জরুরী নারীদের আতœবিশ্বাস ও মর্যাদা নিয়ে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর উৎসাহ দেন। কাজেই নারীদেরকে বাল্যবিয়ে না, শিক্ষিত করতে হবে। অবহেলার চোখে না, সম্মানের চোখে দেখতে হবে। এছাড়াও অনুষ্ঠানে ইউএন রেসিডেন্ট কো-অর্ডিনেটর এবং ইউএন রিপ্রেজেন্টিটিভ ইন বাংলাদেশ মিয়া সেপো এর বক্তব্যে আমরা দলিত নারীরা নিজেদেরকে সামনে এগিয়ে নেয়ার স্বপ্ন দেখছি। ৫জন নারীকে জয়িতা পুরষ্কার দেয়া এটাও আমাদের জন্য নতুন ভাবে জানা। আমরা জেনেছি ১৯৯৬ সালের পর থেকে ইউনিয়ন পরিষদে নারীদের জন্য ৩০শতাংশ কোটা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি সক্রিয় অংশগ্রহনের জন্য সকলকে ধন্যবাদ জানান। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে অংশগ্রহনকারীরা বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার কর্তৃক আয়োজিত আগারগাওঁ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের আলোচনা সভায় অংশগ্রহন করেন। মানবাধিকার তথা নারীর অধিকার নিয়ে আলোচনা হয়। মানুষের জীবন, অধিকার, সমতা ও মর্যাদাপূর্ণ জীবন যাপনের জন্য অত্যাবশ্যকীয় সুযোগ সুবিধাগুলোই মানবাধিকার এবং তাও নারীর অধিকার। যার নীতি হবে সাম্য, সামাজিক ন্যায় বিচার ও মানবিক মর্যাদা।