আমি শারি সংস্থার ছায়া পঞ্চায়েত নেত্রী বলেই সেলাই মেশিনটা পাওয়া সহজ হয়েছে

11
ইভা পাল, প্রকল্প উপ-সমন্বয়কারী,১৩ ডিসেম্বর ২০১৭ :: পরিবার ও সমাজে সুখের আলো ছড়াবে এই প্রত্যাশা নিয়ে ঢাকার কেরাণীগঞ্জ জেলার জাজিরা ঋষিপাড়ার ধীরেন চন্দ্র দাস ও নিয়াশা রানী আদর করে প্রথম সন্তানের নাম রেখেছিল উষা রানী। প্রতিটি ঋষিপাড়ার মতো এখানেও ব্যতিক্রম হয়নি। কন্যা সšতান উষা রানী দাসের দ্রুত বেড়ে ওঠা, সামাজিক চাপ এবং নিরাপত্তার অনিশ্চিয়তা উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়ে উচ্চ আশা পূরণ করা সম্ভব হয়নি। সপ্তম শ্রেণীর পাসের পর ১৬ বছর বয়সে নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলা আশ্রাফব্দী গ্রামের সূর্যকুমার দাসের জ্যেষ্ট ছেলে ১৯৯৭ সালে বাবুল চন্দ্র দাসের সাথে বাল্যবিয়ের পিড়িতে বসতে হয় উষা রানীকে। স্বামী বাবুল দাস অন্যের গাড়ি চালাক হিসাবে কাজ করেন। মাসের সব দিনই আবার কাজ থাকে না। আজ দুই সন্তানের জননী। মেয়ে লাবনী দাস নবম শ্রেণীতে পড়ে এবং ছেলে স্বপ্নিল দাস দ্বিতীয় শ্রেণীতে পড়ছে। গৃহ¯থালীর কাজের ফাঁকে ফাঁকে উষা রানী সšতানের লেখাপড়া আর সামাজিক কাজে নিজেকে যুক্ত করার মধ্যে আলাদা একটা আনন্দ খুজেঁ পায়। ২০১৫ সালে শারি (SHAREE) সংস্থার কার্যক্রমের প্রতি আগ্রহ নিয়ে যুক্ত হয় ছায়া পঞ্চায়েতের সদস্য হিসাবে। শুধু তাই নয় নিয়মিত মাসিক সভায় উপস্থিত থাকা, সরকারি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানে যাওয়া, স্থানীয় সরকার প্রতিনিধিদের সাথে যোগাযোগ তার কাছে ভাল লাগার আরেক উপাদান। একই গ্রামে শারি সংস্থার বিকাশ প্রি-প্রাইমারী স্কুলের শিক্ষিকা ও ছায়া পঞ্চায়েত নেত্রী স্বীকৃতি রানী সহ ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের কাছে একটা আবেদন এবং নিয়মিত যোগাযোগের কারণে সেপ্টেম্বর ২০১৭ মাসে একটা সেলাই মেশিন পেয়েছে। আজ শারি সংস্থার প্রতি তার কৃতজ্ঞার শেষ নেই। উষা রানী মনে করছেন -আজ আমি শারি সংস্থার ছায়া পঞ্চায়েত নেত্রী বলেই ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের সাথে মিটিং অংশগ্রহনের সুযোগ পেয়েছি। আর আজ মেশিন পেয়েছি। আমার ইচ্ছা এই মেশিন দিয়ে আমি আমার পরিবারের কিছুটা হলেও ব্যয় বহন করতে পারবো।
তথ্য সংগ্রহে সহায়তা-দুলালী রানী দাস, কমিউনিটি ফ্যাসিলিটেটর