সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তায় আইন করতে হবে : মেনন

সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তায় আইনের করতে হবে : মেনন
জাগরণ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৮:৪৬, ৮ নভেম্বর ২০১৮

2
A- A A+

বর্তমান সরকার সংখ্যালঘুদের নিরপত্তায় সচেতন হওয়ায় তাদের সংখ্যা বাড়ছে উল্লেখ করে বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সমাজকল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছেন, এখন তাদের নিরাপত্তার জন্য আইন করতে হবে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের ‘জাতীয় নির্বাচন ২০১৮ ও সংখ্যালঘু নিরাপত্তা’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভার আয়োজন করে ‘শারি’ নামের একটি সংগঠন।

মন্ত্রী বলেন, ‘স্বাধীনতার পর থেকে সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন চলেছে। বিশেষ করে ২০০১ সালের নির্বাচনের পর সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতনের মাত্রা প্রকট আকার ধারন করে। তবে বর্তমান সরকারের আমলে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সচেতন। তাই বাংলাদেশে সংখ্যালঘুর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। দেশের মানুষের নিরাপত্তার জন্য অনেক আইন রয়েছে, তাই সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার জন্য সংখ্যালঘু আইন করতে হবে।’

এসময় মন্ত্রী রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনী ইস্তেহারে সংখ্যালঘু নিরাপত্তার বিষয় জোর দেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘ নির্বাচনকালীন এবং নির্বাচনের পরে সখ্যালঘুদের উপর নানা হয়রানি হয়ে থাকে। তাই সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত এব্যাপারে খেয়াল রাখা।’

দৈনিক ভোরের কাগজ পত্রিকার সম্পাদক শ্যামল দত্তের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হোক বলেন, ‘সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন রোধে রাষ্ট্র, নির্বাচন কমিশন এবং রাজনৈতিক দলগুলোকে সচেতন হতে হবে। প্রতিটা এলাকায় নিজ নিজ থেকে সভা করে সচেতনতা বাড়াতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘সংবিধানের ২৮.৪ বলা আছে নারী- শিশু ও পিছিয়ে পরা জনগোষ্ঠীর জন্য প্রয়োজন অনুযাই আইন হতে পারে। এখন বাংলাদেশে নারী- শিশুদের নির্যাতন রোধে আইন রয়েছে তাই সংখ্যালঘুদের নির্যাতন রোধেও আইন হতো পারে।

মানবাধিকার কর্মী অ্যাড. ‘সুলতানা কামাল বলেন, নির্বাচনকালীন সংখ্যালঘুরা জীবন মরণ খেলায় দোলে। নির্বাচন কারো জন্য হয়ে উৎসব মূখর আবার কারো জন্য আতঙ্ক। তাই রাজনৈতিক দলগুলোকে সংখ্যালঘুদের উপর বিশেষ নজর রাখতে হবে।

সভায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, ‘স্বাধীনতার ৪৭ বছর পর সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা করা দুর্ভাগ্যজনক। এই দেশ স্বাধীন হয়েছে সবার জন্য কিন্তু বিভিন্ন শ্রেণির মানুষকে কেনো অস্তিত্বের জন্য লড়াই করতে হবে।
তিনি নির্বাচন কমিশনকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘সামনের জাতীয় নির্বাচনে যেনো কোনে দল ধর্মকে ব্যবহার করে ফায়দা লুটতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার জন্য সকলকে নিজ নিজ থেকে ভুমিকা পালন করতে হবে।’

আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য দেন, মানবাধিকার সংগঠন রিইব -এর নির্বাহী প্রধান ড. মেঘনা গুহঠাকুরতা, বাংলাদেশ হিন্দু- বৌদ্ধ- খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত, দৈনিক সংবাদের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মুনীরুজ্জামান প্রমুখ।

/জেডএস