বিভা রানী দাসের নিভে যাওয়া শিক্ষার আলো পুনরায় ফিরে পেয়ে খুশি

Bivarani
ঢাকা জেলার বাড্ডা থানার বেরাইদ ইউনিয়নের মধ্য বেরাইদ ঋষি পাড়ার অতি দরিদ্র এক পরিবারে তার জন্ম। তার বাবার নাম:মৃত মহাদেব দাস,মাতা:মায়া রানী দাস, দুই ভাই,দুই বোন বিভা সবার ছোট,বড় বোন এবং বড় ভাই এর বিয়ে হয়েছে। বিভা দাস ২০১৫ সালে শারি সংস্থার পরিচালিত কোচিং সেন্টারের মেধাবি ছাত্রী ছিল পড়াশুনায় খুব ভালো সে ২০১৫ PSC পরীক্ষায় 4.56 পেয়ে বড় বেরাইদ রওশনারা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেনীতে ভতি হয়। তার আশা পড়াশুনা করে বড় হওয়ার স্বপ্ন দেখত কিন্তু নিয়তির একি নিম্ম খেলা হঠাৎ তার বাবার মৃতু্্য হয়। বতমানে সে ৮ম শ্রেনীর ছাত্রী। তার ভাই বিয়ে করেছ সে মানসিক প্রতিবন্দি তার মায়ের মানসিক অসুস্থ থাকেন এঅবস্থায় তার স্কুলের পড়াশুনার খরচ বহন করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এবং স্কুলের কোচিং ফি,পরীক্ষার ফি,প্রাইভেট পড়ার খরচ যাবতীয় খরচ চালানো এই দরিদ্র পরিবারের পক্ষে অসম্ভব এমন কি স্কুলে যাওয়া বন্দ করে দেওয়া হয়ে ছিল। ২১/০৩/১৮ তারিখে বেরাইদ কমিউনিটি হিয়ারিং সভায় pps শিক্ষিকা ঝনা রানী দাস তার জীবনের কষ্ঠর কথা এবং লেখাপড়ার আগ্রহর কথা বলতে বলতে আবেগ প্রবনতা হয়ে পড়ে। শারির প্রতিনিধি নিরঞ্জন কুমার দাসের যোগীতায় পঞ্চায়েত মাতব্বরদের সহ যোগীতায় বড় বেরাইদ রওশনারা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের নিকট গিয়ে বিভার অসহায় পরিবারের কষ্ঠর কথা অবহিত করা হয়। প্রধান শিক্ষক মো:মনিরুজ্জামান স্যার বিভা পড়াশুনার আগ্রহর কথা শুনে তাকে পড়াশুনার যাবতীয় খরচ ফ্রি করে দিয়েছেন।বিভা ২২/৩/১৮ তারিখ থেকে পুনরায় স্কুলে যাওয়ার অনুমতি পেয়েছে এখন সে খুশি ছায়া পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে ৫০০/টাকা দেওয়া কথা বলেন ববিতা রানী দাস। পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে সাবিক সহ যোগীতার আশ্বাস দেন মাতব্বর জীবন চন্দ্র দাস,সুকুল দাস,আশিস দাস,সনদ চন্দ্র দাস ও গোবিন্দ চন্দ্র দাস।