বিভুরঞ্জন সরকার বক্তৃতায় বললেন, মেথর-মুচি-হরিজন-চা শ্রমিক এক কোটি লোক, ওরা আমার দেশের মানুষ না?

বিভুরঞ্জন সরকার বক্তৃতায় বললেন, মেথর-মুচি-হরিজন-চা শ্রমিক এক কোটি লোক, ওরা আমার দেশের মানুষ না?
আমাদের নতুন সময় : 26/09/2018
আমান-উদ-দৌলা, কন্ট্রিবিউটিং এডিটর

জাতীয় প্রেস ক্লাবের ২য় তলা। ‘শারি’র উদ্যোগে মত বিনিময় সভা। গতকাল মঙ্গলবার। সকাল-দুপুর। স্থানীয় সরকারের স্টান্ডিং কমিটিতে দলিত ও সংখ্যালঘুদের অংশগ্রহন এবং রাষ্ট্রের করনীয়। এই মর্মে কথা বলতে বৈঠকে এসেছেন। প্রধান অতিথি কাজী রিয়াজুল হক। তিনি চেয়ারম্যান। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের।
সেখানে তাঁর অনেক কথার মধ্যে। একটি কথা ধরে রাখতে চাই। সেটা হলো। সংখ্যালঘু কমিশন গঠনের একটি প্রস্তাব। তিনি বর্তমান সরাকারের কাছে। শিঘ্রই পেশ করতে যাচ্ছেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক প্রিয়াংকা বোস। এবং ডিবিসি টেলিভিশনের সংবাদ সম্পাদক প্রণব সাহা। তাদের আসার কথা ছিলো। কোনো কারণে আসেন নি। তবে, দৈনিক আমাদের নতুন সময় পত্রিকার যুগ্ম সম্পাদক বিভুরঞ্জন সরকার এসেছিলেন। রঞ্জন বকসী নুপুর। শারির কো-অর্ডিনেটর, সঞ্চালক হিসেবে কাজ করেন। এছাড়াও ছিলেন। বাংলাদেশ দলিত পঞ্চায়েত ফোরামের সভাপতি। তিনি রামানন্দ দাস। বাংলাদেশ হরিজন ঐক্য পরিষদের মহাসচিব নির্মল দাস। বাংলাদেশ দলিত যুব মানবাধিকার ফোরামের সাধারণ সম্পাদক। শিখা রানী দাস। বাংলাদেশ দলিত নারী আন্দোলনের সভাপতি বাসন্তি দাশ। কর্মসুচী মূলত ইউনাইটেড নেশনস ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম (ইউ-এন-ডি-পি)। জাতিসংঘের একটি প্রতিষ্ঠানের বাংলাদেশ অফিসের একটি কাজ। সেখনে ওদের হিউম্যান রাইটস এক্সপার্ট লুবনা ইয়াসমিন। এই মত বিনিময় অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন।
আমি এখানে একটা কথা বলি। আমাদের বিভুরঞ্জন সরকার। কিছু কথা বলেছেন। বাংলাদেশ সংবিধানে আছে। কাজির গরু কেতাবে আছে, গোয়ালে নেই। সবাই সমান অধিকার পাবে। কই তা তো দেখিনা। আমাদের মেথর-মুছি-হরিজনরা তো। সাধারণ চায়ের দোকানে। সবার সঙ্গে চা খেতে পায় না। ওদের কাপ দিয়ে দোকানীরা অন্য লোকের চা খাওয়া বন্ধ করে দিতে চান না। সেটা বহু বছর ধরে।
ওরা বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা ১৬-১৭ কোটির মধ্যে ১ কোটির মতো। সংবিধানে সবার অধিকার সমান। ওরা সে অধিকার পায় কি? মত-বিনিময় সভায় এ-কথা জানতে চাইলেন বিভুরঞ্জন সরকার। উল্লেখ্য করা যেতে পারে। ১৬ লাখ হরিজন। ৫৫ লাখ ঋষি। ৩৫ লাখ চা বাগানের শ্রমিক। প্রায় ১ কোটির মতো। শারি সম্পর্কে বলা দরকার। সেলফ হেল্প এসোসিয়েশন ফর রুরাল পিপল থ্রু এডুকেশন এন্টারপ্রিনিয়রশিপ। এরা তথ্য সহযোগিতা করেছে।

মানবাধিকার কমিশন সকল সময় সংখ্যালঘুদের পাশে আছে : কাজী রিয়াজুল হক

মানবাধিকার কমিশন সকল সময় সংখ্যালঘুদের পাশে আছে : কাজী রিয়াজুল হক
Posted by: admin@admin.com 0 380 Views

pic 25.9.18

সংবাদ পরিক্রমা ডেক্স: “স্থানীয় সরকারের স্ট্যাংন্ডিং কমিটিতে দলিত ও সংখ্যালঘুদের অংশগ্রহণ এবং রাষ্ট্রের করণীয়” বিষয়ক মত বিনিময় সভা ২৫ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টায় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে বেসরকারী স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা শারি’র আয়োজনে এবং ইউএনডিপি এইচআরপি’র সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক।

তিনি বলেন, সকল জনগোষ্ঠীর ন্যায্যতা প্রাপ্তিতে মানবাধিকার কমিশন সদা সর্বদা পাশে থাকবে। দলিতদের জন্য সরকারের সকল প্রকারের সামাজিক নিরাপত্তার সুযোগ রয়েছে। দলিত জনগোষ্ঠীকে সরকারের এই কাজ সম্পর্কে জানতে হবে এবং এই সুযোগ পেতে যথাস্থানে যেতে হবে। তিনি দলিত জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিদেরকে স্থাণীয় সরকারের সকল স্থায়ী কমিটিতে অন্তর্ভূক্ত করার জন্য সরকারের সাথে লবি করে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে নীতিগতভাবে একমত পোষণ করেন। দলিত ও হরিজন জনগোষ্ঠীকে স্থায়ী কমিটিতে অন্তর্ভূক্ত করলে তাদের সমস্যার বিষয়টি রাষ্ট্রের গোচরে আনা সম্ভব। আমি আগামী দিনে আপনাদের পাশে থেকে এই কাজে সহযোগিতা করবো।

তিনি বলেন, আমরা সংখ্যালঘু কমিশন গঠণ করার জন্য সরকারের কাছে প্রস্তাব দিচ্ছি। যেখানে সকল পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধি থাকবে। আগামী জাতীয় নির্বাচনের প্রাক্কালে এবং পরে যাতে করে কোন সংখ্যালঘু নির্যাতনের শিকার না হয় সেজন্য এখন থেকেই রাষ্ট্রকে ব্যাবস্থা নেয়ারও আহবান জানান। তিনি আশ্বস্ত করেন, সংখ্যালঘুদের উপর কোন নির্যাতন হলে অবশ্যই আমাকে মানবাধিকার কমিশনকে পাশে পাবেন।

শারি’র নির্বাহী পরিচালক প্রিয় বালা বিশ্বাস এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মত বিনিময় সভায় সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন দৈনিক আমাদের নতুন সময়ের যুগ্ম সম্পাদক বিভুরঞ্জন সরকার, গবেষক প্রতিমা পাল মজুমদার এবং দাতা সংস্থা ইউএনডিপি’র এইচআরপি প্রোগ্রামের ইনভেস্টিগেশন ও হিউম্যান রাইটস এক্সপার্ট লুবনা ইয়াসিণ। শারি’র এডভোকেসী কো-অর্ডিনেটর রঞ্জন বকসী নুপুর সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ দলিত পঞ্চায়েত ফোরামের সভাপতি রামানন্দ দাস, বাংলাদেশ হরিজন ঐক্য পরিষদের মহাসচিব নির্মল দাস, বাংলাদেশ দলিত নারী আন্দোলনের সভাপতি বাসন্তী রানী দাস প্রমূখ।

বক্তারা দলিত জনগোষ্ঠীর মর্যাদা প্রতিষ্ঠা এবং প্রাথমিকভাবে সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ের আওতাধীন সকল কর্মসূচীতে দলিত জনগোষ্ঠীর বিশেষ বরাদ্দ প্রাপ্তির দাবী রাখেন। বয়স্কভাতা, বিধবাভাতা, প্রতিবন্ধিভাতা, শিক্ষা উপবৃত্তি, শিক্ষা বৃত্তি, ভিজিডি/ভিজিএফ কার্ড, শিক্ষা সহায়তা, কর্মসংস্থানে দক্ষতা বিকাশ প্রশিক্ষণ, ক্ষুদ্র ঋণ সহায়তা, নিরাপদ মাতৃত্ব সেবা, স্বাস্থ্য সেবা, কর্মজীবী নারীর মাতৃত্বকালীন ভাতা, গর্ভবতী মায়েদের গর্ভকালীন যত্ন ও সেবা ইত্যাদি বহুবিধ কল্যাণ মূলক সেবা দলিত জনগোষ্ঠীর নিরাপদ জীবন যাপনে একদিকে যেমন অপরিহার্য অন্যদিকে উন্নয়নে অংশগ্রহন নিশ্চিত করবে। পাশাপাশি স্থাণীয় সরকারের সকল স্থায়ী কমিটিতে দলিত ও হরিজন জনগোষ্ঠীকে অন্তর্ভূক্তর মাধ্যমে এই জনগোষ্ঠীর কথা নিজেদেরকেই রাষ্ট্রের কাছে জানানোর সুযোগ প্রদানের দাবি জানান। প্রস্তাবিত ‘বৈষম্য বিলোপ আইন’ প্রণয়ন ও বাস্তবায়নসহ দলিতদের জন্য সমন্বিত উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। তাদের বাসস্থান, পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন করতে হবে, দলিত শিশুদের শিক্ষা কার্যক্রম থেকে ঝরে পড়া রোধ করতে হবে এবং তাদেরকে বিকল্প পেশায় নিয়ে আসতে হবে। সরকারের সকল মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর ও পরিদপ্তরের পাশাপাশি উন্নয়ন প্রতিষ্ঠানসমুহকেও দলিতদের উন্নয়নে এগিয়ে আসতে হবে।

মানবাধিকার কমিশন সকল সময় সংখ্যালঘুদের পাশে আছে – কাজী রিয়াজুল হক

মানবাধিকার কমিশন সকল সময় সংখ্যালঘুদের পাশে আছে : কাজী রিয়াজুল হক
Posted by: admin@admin.com 0 380 Views

pic 25.9.18

সংবাদ পরিক্রমা ডেক্স: “স্থানীয় সরকারের স্ট্যাংন্ডিং কমিটিতে দলিত ও সংখ্যালঘুদের অংশগ্রহণ এবং রাষ্ট্রের করণীয়” বিষয়ক মত বিনিময় সভা ২৫ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টায় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে বেসরকারী স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা শারি’র আয়োজনে এবং ইউএনডিপি এইচআরপি’র সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক।

তিনি বলেন, সকল জনগোষ্ঠীর ন্যায্যতা প্রাপ্তিতে মানবাধিকার কমিশন সদা সর্বদা পাশে থাকবে। দলিতদের জন্য সরকারের সকল প্রকারের সামাজিক নিরাপত্তার সুযোগ রয়েছে। দলিত জনগোষ্ঠীকে সরকারের এই কাজ সম্পর্কে জানতে হবে এবং এই সুযোগ পেতে যথাস্থানে যেতে হবে। তিনি দলিত জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিদেরকে স্থাণীয় সরকারের সকল স্থায়ী কমিটিতে অন্তর্ভূক্ত করার জন্য সরকারের সাথে লবি করে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে নীতিগতভাবে একমত পোষণ করেন। দলিত ও হরিজন জনগোষ্ঠীকে স্থায়ী কমিটিতে অন্তর্ভূক্ত করলে তাদের সমস্যার বিষয়টি রাষ্ট্রের গোচরে আনা সম্ভব। আমি আগামী দিনে আপনাদের পাশে থেকে এই কাজে সহযোগিতা করবো।

তিনি বলেন, আমরা সংখ্যালঘু কমিশন গঠণ করার জন্য সরকারের কাছে প্রস্তাব দিচ্ছি। যেখানে সকল পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধি থাকবে। আগামী জাতীয় নির্বাচনের প্রাক্কালে এবং পরে যাতে করে কোন সংখ্যালঘু নির্যাতনের শিকার না হয় সেজন্য এখন থেকেই রাষ্ট্রকে ব্যাবস্থা নেয়ারও আহবান জানান। তিনি আশ্বস্ত করেন, সংখ্যালঘুদের উপর কোন নির্যাতন হলে অবশ্যই আমাকে মানবাধিকার কমিশনকে পাশে পাবেন।

শারি’র নির্বাহী পরিচালক প্রিয় বালা বিশ্বাস এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মত বিনিময় সভায় সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন দৈনিক আমাদের নতুন সময়ের যুগ্ম সম্পাদক বিভুরঞ্জন সরকার, গবেষক প্রতিমা পাল মজুমদার এবং দাতা সংস্থা ইউএনডিপি’র এইচআরপি প্রোগ্রামের ইনভেস্টিগেশন ও হিউম্যান রাইটস এক্সপার্ট লুবনা ইয়াসিণ। শারি’র এডভোকেসী কো-অর্ডিনেটর রঞ্জন বকসী নুপুর সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ দলিত পঞ্চায়েত ফোরামের সভাপতি রামানন্দ দাস, বাংলাদেশ হরিজন ঐক্য পরিষদের মহাসচিব নির্মল দাস, বাংলাদেশ দলিত নারী আন্দোলনের সভাপতি বাসন্তী রানী দাস প্রমূখ।

বক্তারা দলিত জনগোষ্ঠীর মর্যাদা প্রতিষ্ঠা এবং প্রাথমিকভাবে সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ের আওতাধীন সকল কর্মসূচীতে দলিত জনগোষ্ঠীর বিশেষ বরাদ্দ প্রাপ্তির দাবী রাখেন। বয়স্কভাতা, বিধবাভাতা, প্রতিবন্ধিভাতা, শিক্ষা উপবৃত্তি, শিক্ষা বৃত্তি, ভিজিডি/ভিজিএফ কার্ড, শিক্ষা সহায়তা, কর্মসংস্থানে দক্ষতা বিকাশ প্রশিক্ষণ, ক্ষুদ্র ঋণ সহায়তা, নিরাপদ মাতৃত্ব সেবা, স্বাস্থ্য সেবা, কর্মজীবী নারীর মাতৃত্বকালীন ভাতা, গর্ভবতী মায়েদের গর্ভকালীন যত্ন ও সেবা ইত্যাদি বহুবিধ কল্যাণ মূলক সেবা দলিত জনগোষ্ঠীর নিরাপদ জীবন যাপনে একদিকে যেমন অপরিহার্য অন্যদিকে উন্নয়নে অংশগ্রহন নিশ্চিত করবে। পাশাপাশি স্থাণীয় সরকারের সকল স্থায়ী কমিটিতে দলিত ও হরিজন জনগোষ্ঠীকে অন্তর্ভূক্তর মাধ্যমে এই জনগোষ্ঠীর কথা নিজেদেরকেই রাষ্ট্রের কাছে জানানোর সুযোগ প্রদানের দাবি জানান। প্রস্তাবিত ‘বৈষম্য বিলোপ আইন’ প্রণয়ন ও বাস্তবায়নসহ দলিতদের জন্য সমন্বিত উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। তাদের বাসস্থান, পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন করতে হবে, দলিত শিশুদের শিক্ষা কার্যক্রম থেকে ঝরে পড়া রোধ করতে হবে এবং তাদেরকে বিকল্প পেশায় নিয়ে আসতে হবে। সরকারের সকল মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর ও পরিদপ্তরের পাশাপাশি উন্নয়ন প্রতিষ্ঠানসমুহকেও দলিতদের উন্নয়নে এগিয়ে আসতে হবে।

সংখ্যালঘুরা যেন নির্যাতনের শিকার না হয় : রিয়াজুল হক

সংখ্যালঘুরা যেন নির্যাতনের শিকার না হয় : রিয়াজুল হক
নিজস্ব প্রতিবেদক
Currently 0/512345
গড় রেটিং: 0/5 (0 টি ভোট গৃহিত হয়েছে)

প্রকাশ : বুধবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ০০:০০ টা প্রিন্ট ভার্সন আপলোড : ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ২৩:১৫
bd-pratidin
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক বলেছেন, সংখ্যালঘুরা যেন নির্যাতনের শিকার না হয় সে ব্যবস্থা রাষ্ট্রকে নিতে হবে। দলিতদের জন্য সরকারের সব ধরনের সামাজিক নিরাপত্তার সুযোগ রয়েছে। দলিত জনগোষ্ঠীকে সরকারের এই কাজ সম্পর্কে জানতে হবে এবং এই সুযোগ পেতে যথাস্থানে যেতে হবে। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে আয়োজিত ‘স্থানীয় সরকারের স্ট্যান্ডিং কমিটিতে দলিত ও সংখ্যালঘুদের অংশগ্রহণ এবং রাষ্ট্রের করণীয়’ বিষয়ক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ‘শারি’ এর আয়োজন করে।

রিয়াজুল হক বলেন, স্থানীয় সরকারের সব স্থায়ী কমিটিতে দলিত ও হরিজন জনগোষ্ঠীকে অন্তর্ভুক্তের মাধ্যমে এই জনগোষ্ঠীর কথা নিজেদেরই রাষ্ট্রের কাছে জানানোর সুযোগ দিতে হবে। দলিত ও হরিজন জনগোষ্ঠীকে স্থায়ী কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করলে তাদের সমস্যার বিষয়টি রাষ্ট্রের গোচরে আনা সম্ভব।

অন্য বক্তারা বলেন, দলিতসহ পিছিয়ে পড়া অন্যান্য জনগোষ্ঠীর জন্য সংখ্যালঘু কমিশন গঠন করতে হবে। বক্তারা দলিত জনগোষ্ঠীর মর্যাদা প্রতিষ্ঠা এবং প্রাথমিকভাবে সামাজিক নিরাপত্তাবলয়ের আওতাধীন সব কর্মসূচিতে দলিত জনগোষ্ঠীর বিশেষ বরাদ্দ প্রাপ্তির দাবি জানান। শারির নির্বাহী পরিচালক প্রিয় বালা বিশ্বাসের সভাপতিত্বে গবেষক প্রতিমা পাল মজুমদার, ইউএনডিপির এইচআরপি প্রোগ্রামের ইনভেস্টিগেশন ও হিউম্যান রাইটস এক্সপার্ট লুবনা ইয়াসিন, বাংলাদেশ দলিত পঞ্চায়েত ফোরামের সভাপতি রামানন্দ দাস, বাংলাদেশ হরিজন ঐক্য পরিষদের মহাসচিব নির্মল দাস, বাংলাদেশ দলিত নারী আন্দোলনের সভাপতি বাসন্তী রানী দাস প্রমুখ বক্তব্য দেন।

শারির অ্যাডভোকেসি কো-অর্ডিনেটর রঞ্জন বকসী নূপুর সভা সঞ্চালনা করেন।

খুলনায় সংখ্যালঘুর মানবাধিকার সুরক্ষায় করণীয় শীর্ষক কর্মশালা

সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৮
খুলনায় সংখ্যালঘুর মানবাধিকার সুরক্ষায় করণীয় শীর্ষক কর্মশালা

‘সংখ্যালঘুর মানবাধিকার সুরক্ষায় করণীয়’ শীর্ষক কর্মশালা আজ (মঙ্গলবার)
সকালে খুলনা নগরীর সামছুর রহমান রোডস্থ স্কুল হেলথ ক্লিনিক সম্মেলনকক্ষে
অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল
হোসেন।

প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান সবার জন্য
সমানাধিকার নিশ্চিত করার পাশাপশি কারও প্রতি অমানবিক আচরণ সমর্থন করে না।
কেবল আইনি বাধ্যবাধকতা নয়, সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবেও আমাদের
মানবিক বাংলাদেশে বিশ্বাসী হতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর সরকার
এসকল বিষয়ের প্রতি অধিক যতœশীল। ধর্মকে পুঁজি করে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির
প্রচেষ্টা যেন না হয় প্রশাসন সে বিষয়ে সজাগ আছে। তিনি আরও বলেন, আগামী
নির্বাচন ও শারদীয় দুর্গাপূজা নির্বিঘœভাবে সম্পন্ন করার জন্য সুশৃঙ্খল পরিবেশ
বজায় রাখতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপরতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। কাউকে তাঁর
প্রাপ্য অধিকার হতে বঞ্চিত করা যাবে না। বাংলাদেশ ধর্ম-বর্ণ নিবিশেষে সবার জন্য।
কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা আঞ্চলিক তথ্য অফিসের উপপ্রধান তথ্য
অফিসার ম. জাভেদ ইকবাল এবং খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি ফারুক আহমেদ। এতে
সভাপতিত্ব করেন সুরক্ষা, নাগরিক অধিকার ও মর্যাদা (সুনাম) এর সভাপতি
এ্যাডভোকেট অলোকানন্দা দাস। ধারণপত্র উপস্থাপন করেন মানবাধিকার সম্পাদক
এ্যাডভোকেট পপি ব্যানার্জী। অনুষ্ঠানে স্বাগত জানান শারির প্রোগ্রাম
সমন্বয়ক জগদীশ চন্দ্র সানা। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা শারি ও হিউম্যানিটিওয়াচের
যৌথ সহযোগিতায় এবং সুরক্ষা, নাগরিক অধিকার ও মর্যাদা (সুনাম) খুলনা জেলা
কমিটি এই কর্মশালার আয়োজন করে। খবরঃ বিজ্ঞপ্তির

সংখ্যালঘুর মানবাধিকার সুরক্ষায় করণীয় শীর্ষক কর্মশালা

সংখ্যালঘুর মানবাধিকার সুরক্ষায় করণীয় শীর্ষক কর্মশালা

খুলনা : ‘সংখ্যালঘুর মানবাধিকার সুরক্ষায় করণীয়’ শীর্ষক কর্মশালা মঙ্গলবার সকালে খুলনা নগরীর সামছুর রহমান রোডস্থ স্কুল হেলথ ক্লিনিক সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন। প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান সবার জন্য সমানাধিকার নিশ্চিত করার পাশাপশি কারও প্রতি অমানবিক আচরণ সমর্থন করে না। কেবল আইনি বাধ্যবাধকতা নয়, সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবেও আমাদের মানবিক বাংলাদেশে বিশ্বাসী হতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর সরকার এসকল বিষয়ের প্রতি অধিক যত্নশীল। ধর্মকে পুঁজি করে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির প্রচেষ্টা যেন না হয় প্রশাসন সে বিষয়ে সজাগ আছে। তিনি আরও বলেন, আগামী নির্বাচন ও শারদীয় দুর্গাপূজা নির্বিঘ্নভাবে সম্পন্ন করার জন্য সুশৃঙ্খল পরিবেশ বজায় রাখতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপরতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। কাউকে তাঁর প্রাপ্য অধিকার হতে বঞ্চিত করা যাবে না। বাংলাদেশ ধর্ম-বর্ণ নিবিশেষে সবার জন্য। কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা আঞ্চলিক তথ্য অফিসের উপপ্রধান তথ্য অফিসার ম. জাভেদ ইকবাল এবং খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি ফারুক আহমেদ। এতে সভাপতিত্ব করেন সুরক্ষা, নাগরিক অধিকার ও মর্যাদা (সুনাম) এর সভাপতি এ্যাডভোকেট অলোকানন্দা দাস। ধারণপত্র উপস্থাপন করেন মানবাধিকার সম্পাদক এ্যাডভোকেট পপি ব্যানার্জী। অনুষ্ঠানে স্বাগত জানান শারির প্রোগ্রাম সমন্বয়ক জগদীশ চন্দ্র সানা। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা শারি ও হিউম্যানিটিওয়াচের যৌথ সহযোগিতায় এবং সুরক্ষা, নাগরিক অধিকার ও মর্যাদা (সুনাম) খুলনা জেলা কমিটি এই কর্মশালার আয়োজন করে।

সংখ্যালঘুর মানবাধিকার সুরক্ষায় করণীয় শীর্ষক কর্মশালা

খুলনা অফিস : ‘সংখ্যালঘুর মানবাধিকার সুরক্ষায় করণীয়’ শীর্ষক কর্মশালা গতকাল মঙ্গলবার সকালে খুলনা নগরীর সামছুর রহমান রোডস্থ স্কুল হেলথ ক্লিনিক সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন।
প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান সবার জন্য সমানাধিকার নিশ্চিত করার পাশাপশি কারও প্রতি অমানবিক আচরণ সমর্থন করে না। কেবল আইনি বাধ্যবাধকতা নয়, সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবেও আমাদের মানবিক বাংলাদেশে বিশ্বাসী হতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর সরকার এসকল বিষয়ের প্রতি অধিক যতœশীল। ধর্মকে পটুজি করে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির প্রচেষ্টা যেন না হয় প্রশাসন সে বিষয়ে সজাগ আছে। তিনি আরও বলেন, আগামী নির্বাচন ও শারদীয় দুর্গাপূজা নির্বিঘœভাবে সম্পন্ন করার জন্য সুশৃঙ্খল পরিবেশ বজায় রাখতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপরতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। কাউকে তাঁর প্রাপ্য অধিকার হতে বঞ্চিত করা যাবে না। বাংলাদেশ ধর্ম-বর্ণ নিবিশেষে সবার জন্য।
কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা আঞ্চলিক তথ্য অফিসের উপপ্রধান তথ্য অফিসার ম. জাভেদ ইকবাল এবং খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি ফারুক আহমেদ। এতে সভাপতিত্ব করেন সুরক্ষা, নাগরিক অধিকার ও মর্যাদা (সুনাম) এর সভাপতি এডভোকেট অলোকানন্দা দাস। ধারণপত্র উপস্থাপন করেন মানবাধিকার সম্পাদক এডভোকেট পপি ব্যানার্জী। অনুষ্ঠানে স্বাগত জানান শারির প্রোগ্রাম সমন্বয়ক জগদীশ চন্দ্র সানা। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা শারি ও হিউম্যানিটিওয়াচের যৌথ সহযোগিতায় এবং সুরক্ষা, নাগরিক অধিকার ও মর্যাদা (সুনাম) খুলনা জেলা কমিটি এই কর্মশালার আয়োজন করে।

সংখ্যালঘুর মানবাধিকার সুরক্ষায় করণীয় শীর্ষক কর্মশালা

সংখ্যালঘুর মানবাধিকার সুরক্ষায় করণীয় শীর্ষক কর্মশালা
Posted In: খুলনা, সব সংবাদ | Posted on: Sep 25, 2018 | Comments Off
05 Khulna School Halth
‘সংখ্যালঘুর মানবাধিকার সুরক্ষায় করণীয়’ শীর্ষক কর্মশালা গতকাল (মঙ্গলবার) সকালে খুলনা নগরীর সামছুর রহমান রোডস্থ স্কুল হেলথ ক্লিনিক সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন। প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান সবার জন্য সমানাধিকার নিশ্চিত করার পাশাপশি কারও প্রতি অমানবিক আচরণ সমর্থন করে না। কেবল আইনি বাধ্যবাধকতা নয়, সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবেও আমাদের মানবিক বাংলাদেশে বিশ্বাসী হতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর সরকার এসকল বিষয়ের প্রতি অধিক যতœশীল। ধর্মকে পুঁজি করে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির প্রচেষ্টা যেন না হয় প্রশাসন সে বিষয়ে সজাগ আছে। তিনি আরও বলেন, আগামী নির্বাচন ও শারদীয় দুর্গাপূজা নির্বিঘœভাবে সম্পন্ন করার জন্য সুশৃঙ্খল পরিবেশ বজায় রাখতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপরতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। কাউকে তাঁর প্রাপ্য অধিকার হতে বঞ্চিত করা যাবে না। বাংলাদেশ ধর্ম-বর্ণ নিবিশেষে সবার জন্য। কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা আঞ্চলিক তথ্য অফিসের উপপ্রধান তথ্য অফিসার ম. জাভেদ ইকবাল এবং খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি ফারুক আহমেদ। এতে সভাপতিত্ব করেন সুরক্ষা, নাগরিক অধিকার ও মর্যাদা (সুনাম) এর সভাপতি এ্যাডভোকেট অলোকানন্দা দাস। ধারণপত্র উপস্থাপন করেন মানবাধিকার সম্পাদক এ্যাডভোকেট পপি ব্যানার্জী। অনুষ্ঠানে স্বাগত জানান শারির প্রোগ্রাম সমন্বয়ক জগদীশ চন্দ্র সানা। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা শারি ও হিউম্যানিটিওয়াচের যৌথ সহযোগিতায় এবং সুরক্ষা, নাগরিক অধিকার ও মর্যাদা (সুনাম) খুলনা জেলা কমিটি এই কর্মশালার আয়োজন করে।-তথ্য বিবরণী